কঠিন সময় এমনিতেই লকডাউন

 নিজের কথা বলি । দেশে করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন চলছে । জীবিকার তাগিদে একেকজন একেকদিকে থাকতে হয় বসবাস করতে হয় । আমি একদিকে, স্বামী আরেকদিকে, ছেলেসন্তান তার পড়ার কারণে এক জায়গায়, মেয়ে আরেক জায়গায় । ১০০, ২০০, ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান সবার । মোবাইলে যোগাযোগ করে ভাল মন্দ খবর নেয়া ছাড়া আর কোভাবেই সরাসরি যোগাযোগ করা যায়না, কথা হয়না দেখা হয়না, একসাথে বসা হয়না, ভাল মন্দ খাওয়া হয়না । 


তারপরও যখন তখন যদি যোগাযোগ করা যেতো , ভাল, চিন্তা ছিলনা কিন্তু আজকালকার ছেলেমেয়েদের কি বলবো, কাকে বলবো, কাকে শুনাবো । তারা হলো রাতে সারারাত আড্ডা , দিনে ঘুম । একটু খোঁজখবর নেয়ারও উপায় নেই । খাবার দাবার কি, কখন খাবে, কোন টাইম টেবিল নাই তাদের । খেলো না, না খেলো কোন যেন মাথা ব্যাথা নেই । মোবাইল করি-কোন সারা শব্দ নেই । মা, হিসাবে একটু খোঁজ খবর নিয়ে যে নিশ্চিন্ত থাকবো তার উপায় নেই । ১০/১২ বার কল করার পরও কোন সারা নেই। রিং বেকও করেনা এমন সন্তানদের কি বলবো ভাষাও খোঁজে পাইনা । চিন্তা করে করে সময় পার, সন্তানরা তার কি বুঝবে, তাদের অনুভুতিগুলো আসলে একদম নেই বললেই চলে ।  

কাজ, সেতো বহু দূরের কথা । একটা কাজও করেনা, করতে চায়না, করবেনা । কিভাবে নিজের জীবন চালাবে মা হয়ে আমি ভাবতে পারিনা, কি করবে সামনের দিনগুলোতে । সাজুগুজু, কাপড় চোপড়, মোবাইল এগুলো নিয়েই ব্যতিব্যস্ত । পড়াশুনা কি করছে, কেমন করছে জানার বুঝার উপায় নেই । অনলাইন ক্লাশ করে মাসে মাসে কোচিং টাকা, ফি দিয়েই শেষ । কি হচ্ছে এসব পড়াশুনার বুঝা বড় দায় ।

তারপরও এমন সন্তানরাও নিরাপদে থাকুক এই কামনা করি, তাদের বোধের উদয় হোক এই প্রত্যাশা করি । 

মন্তব্যসমূহ

আলোছায়া কথামালা

গারোদের উৎপত্তি, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিবাহ প্রথা ও মাতৃসূত্রীয় প্রথা

গারো শব্দের উৎপত্তি ও বিভিন্ন মতবাদ (গারোদের উৎপত্তি, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিবাহ প্রথা ও মাতৃসূত্রীয় প্রথা -১ম পর্ব)