পোস্টগুলি

2019 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইচ্ছে করে ভালবাসতে তোমাকে - নাম্মনে আসকিা নাংখো নামনকিনা

ইচ্ছে করে ভালবাসতে তোমাকে ইচ্ছে করে ভীষণ ভাবে ভালবাসতে তোমাকে সমুদ্রের ঢেউয়ে তোমায় নিয়ে সাঁতরাতে মেঘ হয়ে দুজন আকাশে ভাসতে তারপর বৃষ্টি হয়ে শান্তির মিলনে ঝরে পড়তে এ পৃথিবীর বুকে নতুন রচনায় উদ্ভাসিত হতে । মরুভূমির বুকে সবুজ বৃক্ষ হতে র্ঝণাধারা হয়ে স্বচ্ছ পানি হয়ে ঝলমল করতে তোমার বুকে মাথা রেখে কালো-রাত পাড়ি দিতে ঘুমের রাজ্যে ঘুরে বেড়াতে স্বপ্নলোকের বৃন্দাবনে ।। ভোর বেলাতে ঠোঁটে ঠোঁট মেলাতে উষ্ণ চুম্বনে আবেগাপ্লোত হতে যত শক্তি আছে এ দেহে, শক্ত করে চেপে ধরতে তোমাকে বুকে বুক মিলিয়ে আলিঙ্গনে ডুবে থাকতে ভালবাসার কঠিন মায়ায় মায়ামায়ী হতে ।।    মাছরাঙা পাখি হয়ে রঙিন পাখা মেলতে ঝিলের জলে মাছ ধরে এদিক ওদিক ঘুরতে বসন্ত বাতাসে পাখনা মেলে আকাশ পানে উড়তে সবকিছুর মূলে শুধু তোমার ভালবাসায় থাকতে । গারো ভাষা (আচিক ভাষা) নাম্মেন হাসিকা নাংখো নামনিকনা নাম্মেন হাসিকা আংআ নাংখো নামনিকনা সাগালনি চিও নাংমিং আপসান হংএ জ্রঅনা মিকখা হংএ সিলগাচানা বিলনা ইনদাকে জামানো মিকখা ফিল্লে চকননা ইয়া সালগিও গিত্তাল জাংগী থারিনা । হানচেংনি জাংচিও নিথুয়া বিফাং ফিলনা চিরিংনি বক্কা চি ফিললে চিংছেদ চিংছেদ হংনা নাংনি গিসিককো স্কু

আমার দেখা গারো কৃষি কথা

ছবি
আমি একজন গারো আদিবাসী এবং আমার জন্ম কৃষক পরিবারে । জন্মের পর থেকেই কৃষক পরিবারে জন্ম নেয়ার কারণে কৃষিকাজ কিভাবে করা হতো, কারা করতো, কি কি করা হতো এসকল কাজের সাথে আমার খুব চেনা জানা রয়েছে । দেখেছি, করেছি এবং এনজয় করেছি তাও বলা যেতে পারে কারন কৃষি জমিতে গিয়ে নানা ধরনের খেলাইও মেতেছিলাম আমার বাল্যকাল এবং কৈশোর কাল এমনকি পূর্ণবয়সেও । বর্তমানে কিছুদিন ধরে এই কৃষকদের ধান কাটা, ধান সংগ্রহ, শ্রমিক মজুরী ও ধানের মূল্য এসব নিয়ে নানা সমস্যা, জটিল পরিস্থিতি এবং কৃষকদের ভিষনরকম সমস্যাগুলোর নিউজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল এবং টিভি, মিডিয়া সবখানে কৃষকদের দুরাবস্থার কথা , সমস্যা দেখতে দেখতে আমাদের সময়ে, আমাদের গারো সমাজে কৃষি কাজের নানান বৈচিত্র অভিজ্ঞতা, আনন্দ, স্মৃতি ভিষণভাবে মনে আনাগুনা করছে । এখনকার সময়ের মানে ডিজিটাল যুগের কৃষকদের এত দুরাবস্থার কথা চিন্তা করতে গিয়ে মূলত গারো সমাজের কৃষিকাজের কথা ভিষনভাবে মানে করিয়ে দিচ্ছে, সেই সময়ের মত যদি কৃষি কাজ করা হতো তাহলে এসব কোন সমস্যাই সমস্যা হওয়ার কথা না । দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ--- একতাই বল, একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোন কাজই

গারো সাম্প্রদায়ের আত্নীয় সম্পর্ক পদ্ধতি (গারোদের উৎপত্তি, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিবাহ প্রথা ও মাতৃসূত্রীয় প্রথা - ৩য় পর্ব)

ছবি
প্রতিটি সমাজের আত্নীয় সম্পর্ক হলো একটি স্বাতন্ত্র উপাদান । এটি একটি সম্প্রদায়ের সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ন  ভূমিকা পালন ও গ্রহন করে । আদিবাসী সম্প্রদায়ের সমাজগুলি নিজস্ব একটি আত্নীয়তা সম্পর্ক সিস্টেম দিয়ে চিহ্নিত করা হয় । গারো সমাজের সাম্প্রদায়িক আত্নীয় সম্পর্ক নিম্নরুপঃ গারো সম্প্রদায়ের সমাজে একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ হলো আত্নীয়তা সমপর্ক যা বংশের মাধ্যেমে সম্পর্কযুক্ত । গারো সমাজে ৫টি বংশজাত গোত্র রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে  । এই বংশকে গারো ভাষায় বলে চাচ্চি । এই ৫টি চাচ্চি হলো সাংমা, মারাক, মমিন, আরেং এবং শির । প্রতিটি বংশের আরো উপশাখা বা উপবংশ রয়েছে । এই উপশাখাকে বলা হয় মা-চং । চাচ্চি অর্থ হলো একজন আরেকজনের সাথে আত্নীয় বা রক্ত সম্পর্ক যেখানে মাচং হলো একজন মায়ের বংশজাত উত্তরাধিকারীগন । মা হলো মা বা মাদার, চং হলো দল, চাচ্চি হলো বংশ/ক্লান এবং মাচং হলো উপবংশ/সাবক্লান । প্রকৃতপক্ষে তাদের মূলত দুই ভাগই ছিল বলে ধারনা করা হয় । সেটি হলো সাংমা মাচং এবং মারাক মাচং । আরেং, সিরা ও মমিন ঐ দুইয়ের মধ্যেই অন্তভুৃক্ত । আরেং বংশটি সাংমা থেকে এবং সিরা বংশ মারাক হতে উদ্ভব হয়েছে বলা হয়ে থাকে । তৃতীয় যে বং

গারো জনগোষ্ঠীর মাইগ্রেশন /অভিবাসন ও বসতি স্থাপন- (গারোদের উৎপত্তি, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিবাহ প্রথা ও মাতৃসূত্রীয় প্রথা - ২য় পর্ব)

ছবি
যদিও অভিবাসন সংক্রান্ত তারিখ ও কারনসমুহ সহ তেমন কোন যথাযথ প্রমানযোগ্য উৎস তথ্য উপাত্ত নেই তবুও গারো জনগোষ্ঠীর বিশ্লেষক ও গবেষকরা গারোদের বিশ্বাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, লোককাহিনী ও কিছু ঐতিহাসিক ঘটনার তথ্য থেকে অনুমান ও ধারনা করে গারোদের অভিবাসন ও বসতি স্থাপন সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেছেন।  এ সম্পর্কে প্লে ফেয়ার লিখেছেন যে, গারোদের তিব্বত থেকে কিভাবে সমতল থেকে পথব্রজে আগমন হয়েছে মেঘালয়ে, ব্রম্মপুত্র উপতক্যা থেকে কিভাবে হিমালয়ে আগমন ঘটেছে , এখন বর্তমানে যেখানে গারোরা বসতি স্থাপন করেছে সেখানে আসার তেমন কোন সুস্পষ্ট ও স্বতন্ত্র গল্প নেই বলে উল্লেখ করেন । বেশীরভাগ লোককাহিনী ও লোকগীতির মধ্যে তিব্বত সম্পর্কে অনেকবার উল্লেখ করা রয়েছে যা তিব্বত থেকে তাদের বসতি স্থানান্তর হয়েছে বলে কাহিনী রচিত রয়েছে । যেখানে তাদের বসতি ছিল সেখান থেকে তারা স্থনান্তরিত হয়েছে এই ঘটনা স্পষ্ট । এটি একটি উল্লেখযোগ্য কাহিনী যে, তাদের আসাম উপতক্যা থেকে তিব্বতে যে অবিভাসনের ঐতিহ্য  ও ইতিহাস রয়েছে এবং তা বর্তমানের গারো জনগোষ্ঠী মনে প্রানে তা  বিশ্বাস করে । এইচ কে বার পুজারি লিখেছেন যে, আমাদের কোন জনপ্রিয় ঐতিহ্য বা ইতিহ

গারো শব্দের উৎপত্তি ও বিভিন্ন মতবাদ (গারোদের উৎপত্তি, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিবাহ প্রথা ও মাতৃসূত্রীয় প্রথা -১ম পর্ব)

ছবি
গারো আদিবাসি শিশু  গারো জাতি মূলত উত্তর পূর্ব ভারতের বাসিন্দা, বিশেষ করে মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়কে ঘিরেই তাদের বসবাস । যাই হোক, এই জাতি গোষ্ঠীর কয়েকটি আবার শাখা প্রশাখা বা উপগোষ্ঠী রয়েছে যা অন্যান্য এলাকাতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করে থাকে । আসামের প্রতিবেশী রাজ্য, অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে গারো আদিবাসীর বসবাস পরিলক্ষিত হয় । এই এলাকার ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা বা পার্থক্যের কারণে, গারো জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায় বা গোত্র ভারতের মেঘালয়ের সমগ্র অঞ্চলেই বিস্তৃতি লাভ করে । মূলত এই গবেষনায় মেঘালয় রাজ্যে ও তার আশপাশে বসবাসকারী গারোদের সামাজিক ব্যবস্থা সম্পর্কেই তুলে ধরা হয়েছে । “গারো”  কেন বলা হয়? “গারো” নামের অর্থ কি? “গারো” শব্দ দিয়ে কি বুঝানো হয়? এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতবাদ, মতর্পাথক্য বা মতভেদ রয়েছে যা আমরা বিভিন্ন গবেষকদের আলোচনা ও বর্ননা থেকে জানতে পারি  । ১) ভারতের এক মেজর প্লেফেয়ার তার  “দ্যা গারোস” নামক গবেষনা মূলক একটি বই এ উল্লেখ করেন যে,  প্রথমে “গারো” শব্দটি “গারা” বা “গাঞ্চিং”  গারো পাহাড়ের দক্ষিনদিকে যে জনগোষ্ঠী বা উপ

গারোদের উৎপত্তি, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিবাহ প্রথা ও মাতৃসূত্রীয় প্রথা

ছবি
মেঘালয় এর ম্যাপ বাংলাদেশ এবং ভারতের মেঘালয়ে মূলত গারো আদিবাসীদের বসবাস । নিজে গারো আদিবাসী তাই গারো আদিবাসী নিয়ে জানার একটি কৌতুহল থেকে গারো সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার ও জানার একটা আগ্রহ তৈরী হয় । আর এ কৌতুহল থেকেই কিছু কিছু বই সংগ্রহ করে পড়ার সময় লক্ষ্য করলাম গারোদের যে ইতিহাস তা ভিন্নরকম এবং খুবই বিচিত্র ও অনেক সমৃদ্ধ মনে হয়েছে আমার কাছে । গারোদের জীবন যাত্রা, চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য , সামাজিক জীবন, আচার, রীতি, প্রথা সবকিছুর মধ্যে অন্যরকম বৈচিত্রতা রয়েছে যা ভিন্নরকম ও আর্কষনীয় । প্রাতিষ্ঠানিক কোন বইয়ে গারো সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন কোন লেখা পাওয়া যায়না । প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বইয়ে গারো সম্পর্কে যে কয়েক লাইন পাওয়া যায় তা অনেক ক্ষেত্রেই গারোদের বাস্তব জীবন চিত্রের সাথে মিলেনা বললেই চলে এবং অল্প কয়েক লাইন মাত্র । নিজের কাছেই বইগুলো পড়তে পড়তে গারোদের অন্তত নিজের আদি ইতিহাস, উৎপত্তি এবং সামাজিক রীতি নীতি, দলগত বৈচিত্রতা, গোত্রগত বিভিন্ন নিয়ম কানুন কেমন ছিল, নিজের শিকড় কোথায় হতে পারে এ সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব রয়েছে বলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি । বর্তমান যুগে শ

ভালো লেখক এর গুনাবলীঃ

ছবি
১। পাঠে সময় দিন প্রচুর: সমাজকে জানুন। পৃথিবীকে জানুন। একজন লেখককে লেখার মধ্য দিয়ে পাঠককে অনেক কিছু জানাতে হয়। তাই পড়তে হবে প্রচুর। ২। লক্ষ্য স্থির করুন: কোন লক্ষ্যে নিবেদিত হবে আপনার লেখা, তা স্থির করে নিন। কিছু লোক পয়সার জন্য অনৈতিকতা, অপসংস্কৃতি ও নোংরামিকে লেখার উপজীব্য বানায়। যারা শেষ পর্যন্ত নিন্দিত হয়। তাই আপনি আপনার লক্ষ্য ঠিক করে নিন। ৩। সাহসী ও সত্যনিষ্ঠ হন: সত্যের শক্তি অসীম। তাই সত্যকে বুকে ধারণ করে কলম বা কীবোর্ড হাতে নিন। পাঠক আপনার লেখার সাথে আপনাকেও ভালোবাসতে শুরু করবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরো সাহসী। ৪। ভালো লেখকদের অনুসরণ করুন: ভালো লেখকদের লেখা পড়ুন। তাদের লেখার ধরন, আঙ্গিক ইত্যাদি লক্ষ্য করুন। ৫। প্রতিদিন লিখুন: লিখতে থাকুন প্রতিদিন। প্রথম দিকে যা মনে আসে তা-ই লিখে ফেলুন। হোক ভুল-ত্রুটি। প্রথম জীবনে বড় বড় লেখকদের লেখাও ত্রুটিমুক্ত ছিল না। ৬। অপারেশন চালান/কাঁটাছেঁড়া করুন: আপনার লেখাটি দু-একদিন পর পড়ে দেখুন, কোথায় কী ভুল হলো। সংশোধন করুন, সংযোজন করুন। লেখাটিকে সুন্দর করে তোলার জন্য নিজেই সম্পাদনা করুন। ৭। লেখাকে তথ্যসমৃদ্ধ করুন: পাঠক জানার আগ্রহ থেকেই আপনার