নিরবে সহ্য করার ক্ষমতা সবার থাকেনা

যার যত বেশী সহ্য ক্ষমতা সে ততবেশী সফল বা সুন্দর একটি গুণসম্পন্ন মানুষ। এই সহ্য ক্ষমতা সবার সমান থাকেনা। কারো একেবারে নেই, কারো কিছু আছে আবার কিছু মানুষের সহ্য ক্ষমতা এত বেশী থাকে যা কল্পনার অতীত। তাকে দেখে তার জীবণ মানে প্রাণ, অনুভুতি বা চেতনা সত্যি আছে কিনা বুঝা খুব মুশকিল হয়ে যায়।

এই

সহ্য অনেক রকমের হতে পারে। নিজের ব্যাথা,  বেদনা, দুঃখ, কষ্টকে অনেকেই নিরবে নিভৃতে সহ্য করে চলে যারা, তারা নিঃস্বার্থ একজন মানসিকতার অধিকারী সুন্দর মানুষ বলে মনে করা হয়।  তবে সত্যিকারভাবে বাস্তবতা বিচার বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পারি যে এমন মানসিকতার মানুষগুলো খুব অসহায়। নিজের সমস্ত চাওয়া পাওয়া স্বপ্ন সাধনা সুখ ভোগকে বিসর্জন  দিয়েই সবকিছুকে সহ্য করে জীবনে এবং তারা কিন্তু জীবনে মহৎ ও একজন সফল মানুষ। তাকে সবাই পছন্দ করবে, সম্মান দিবে এবং মূল্যায়ন করবে এদিক থেকে তার জীবনের সফলতা বিদ্যমান।  স্বার্থপর মানুষগুলোর সহ্যক্ষমতা সাধারনত কম থাকে। এই মানুষগুলো খুব অস্থির থাকে এবং কারো ভাল কিছু হলেও তাদের সেটা ভাল লাগেনা মানে সহ্য করতে পারেনা। সবকিছুতেই তাকে প্রথম হতে হবে, সামনে থাকতে হবে, সবার থেকে উৎকৃষ্ট হতে হবে তারই। তার মানসিকতা হলো এমন থাকে যে, সবকিছুর বিনিময়ে হলেও তার নিজের ইচ্ছাটাকে অগ্রাধিকার দিবে, নিজেরটা পেতে হবে এবং নিজেই আগে নিতে হবে, করতে হবে ও পেতে হবে। তা না হলে সে সহ্য করবেনা, সে এমনই। এদের জীবনে বিপদ, সমস্যা, অতৃপ্তি ও চাওয়া পাওয়া অনেক থাকে যা তাকে শান্তিতে থাকতে দেয়না। 

তবে বলা হয়ে থাকে, সহ্যক্ষমতা সম্পন্ন মানুষগুলোই এ পৃথিবীতে বেশী সুখী কারন সে মহৎ। 


মন্তব্যসমূহ

আলোছায়া কথামালা

গারোদের উৎপত্তি, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিবাহ প্রথা ও মাতৃসূত্রীয় প্রথা

গারো শব্দের উৎপত্তি ও বিভিন্ন মতবাদ (গারোদের উৎপত্তি, সমাজ ব্যবস্থা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বিবাহ প্রথা ও মাতৃসূত্রীয় প্রথা -১ম পর্ব)